5G কি ? 4G & 5G এর মধ্যে পার্থক্য কতটুকু ? 5G বদলে দিবে পুরা পৃথিবী

5G কি ? একটু চিন্তা করে দেখুন তো রাস্তায় গাড়ি চলছে কিন্তু গাড়িতে কোন ড্রাইভার নেই ।হসপিটা লের বেডে একজন রোগী শুয়ে আছে তার উপর অপারেশন চলছে, সার্জারি চলছে, কিন্তু ডাক্তার ফিজিক্যালি প্রেজেন্ট নেই। রোবটিক্স হ্যান্ড দিয়ে তার অপারেশন করা হচ্ছে।

robotic surgery

আপনি কম্পিউটারের হেভি গ্রাফিক্সের গেম গুলা মাত্র ১০ – ১৫ হাজারের ফোন দিয়ে খেলতে পারছেন কিংবা AR VR এর মাধ্যমে আপনি কারো সাথে যখন কথা বলছেন আপনি ফিল করছেন সেই ব্যক্তির আপনার সামনে দাঁড়িয়ে আছে এবং সে আপনার প্রত্যেকটা কথার জবাব ইন্সট্যান্টলি দিচ্ছে, আপনি তার সাথে ইন্টারে করতে পারছে । অথচ সে আপনার সামনে নেই, এটা অনেকটা স্বপ্নের মতো তাইনা?

নাা এটা কিন্তু এখন রিয়েলিটি। যদিও মনে হতে পারে কোন সাই-ফাই মুভির দৃশ্য আমি আপনাদেরকে বর্ণনা করছে বাট বাস্তবে এই জিনিসগুলো কিন্তু অলরেডি হচ্ছে এবং সেটা সম্ভব হচ্ছে ফাইভ-জি এর কারণে।

5G

5G এর নাম কিন্তু আমরা গত চার-পাঁচ বছর ধরে বা 3,4 বছর ধরে প্রচুর শুনেছি। 5G মানে হচ্ছে 5th জেনারেশন। আর এটা হচ্ছে ওয়ারলেস মোবাইল টেকনোলজি। এই 5G নিয়ে কিন্তু আমাদের অনেকের অনেক ভুল ধারনা আছে, অনেকে আমরা অনেক স্বল্প পরিমাণে জানি 5G সম্পর্কে।

আজকের ব্লগে আমরা আলোচনা করবো 5G কি? এবং কিভাবে আমাদের জীবনে রেভেলেশন নিয়ে আসবে, কিভাবে আমাদের লাইফ পুরা চেঞ্জ করে দেবে । সেই বিষয়গুলো নিয়ে আলোচনা করবো।

5G সম্পর্কে জানার আগে আমরা এই মোবাইল নেটওয়ার্ক এর হিস্ট্রি সম্পর্কে একটু জেনে আসি –

মোবাইল নেটওয়ার্ক শুরু হয় 1G বা ফার্স্ট জেনারেশন নেটওয়ার্ক দিয়ে ।যেটার মাধ্যমে ভয়েস কল করা যেত। সেটাও কিন্তু সেই সময়ের ব্রেক থ্রু বা রেভুলেশনারি একটি টেকনলজি ছিলো। এর পরে আসলো 2G যেখানে Voice কলের পাশাপাশি এসএমএস এবং এমএমএস যুক্ত করা হলো। এর পরে আসলো 3G যেখানে ভয়েস কল এসএমএস, এমএমএস এর পাশাপাশি মোবাইল ডেটা বা ইন্টারনেটে যুক্ত করা হলো। তারপর আসলো 4G

ফোরজি কিন্তু থ্রিজি থেকে আরও বেশি fastest Data কানেকশন provide করেছিল এবং আমরা অনেক বেশি ফাইল ট্রান্সফার করতে পারছিলাম, মুভি স্ট্রিমিং করতে পারছিলাম, real-time ইউটিউবে ভিডিও দেখতে পাচ্ছিলাম , মানে ফোরজি টা আরো বেশি ফাস্ট হলো।

Then আসলো 5G। Now 5G টা এই 1G 2g 3g 4g থেকে অনেক অনেক অনেক বেশি ফাস্টার। মানে 1G 1st জেনারেশনের যেরকম একদম revolutionary একটা ব্রেক থ্রু একটা টেকনলজি নেয়ে এসেছিলো। 5G টাও কিন্তু ঠিক সেরকমই revolutionary এবং ব্রেক থ্রু একটা টেকনোলজি।

তো আমরা একটু এক্সপ্লেইন করি 5G কি ?

তার আগে আপনাদের একটা কথা মানে সমালোচনার উত্তর দেই। অনেকেই হয়তো বলতে পারেন যে আমাদের দেশে তো ঠিকমতো 2G পায়না তাহলে 5G কিভাবে আসবে? বা কখন পাবো? এতদিন ধরে শুনে আসছি। এই প্রশ্নের জবাবে আপনাদেরকে আমি বলতে চাই – সুখবর হচ্ছে বাংলাদেশ গ্রামীণফোন প্রথম বেসরকারি টেলকো হিসেবে 5G নিয়ে আসছে।

আমি বিশ্বাস করি গ্রামীণফোনের হাত ধরে বাংলাদেশের ফাইভ-জি widely spread হবে । এখন প্রশ্ন হচ্ছে এই – 5G কি শুধুমাত্র মোবাইল নেটওয়ার্ক ? মানে মোবাইলে যে আমরা ডেটা ইউজ করি, যেমন ফেসবুকে ছবি আপলোড করি, ইউটিউবে ভিডিও দেখি, 5G দিয়ে কি আমরা এটা করবো। অবশ্যই না। 5G এর opportunity আরো হিউজ, আরো বেশি বিস্তর ।

এবার চলুন 5G এর বেসিক যে কম্পোনেন্ট গুলো আছে সেগুলো নিয়ে কথা বলি –

এর আগের জেনারেশনের নেটওয়ার্ক 4g থেকে 5G এর যে ডিফারেন্স টা মানে ফান্ডামেন্টাল যে ডিফারেস্ন টা সেটা হচ্ছে স্পিড এবং লেটেন্সি। আমরা যদি স্পিড নিয়ে বলি তাহলে 4G থেকে 5G এর স্পিড অলমোস্ট 100x বেশি। 5G এর যে Top speed সেটা হচ্ছে 10GBPS।

যেটা কিন্তু মাথা নষ্ট করা একটা ব্যাপার স্যাপার। Real life a আমরা যদি দেখি তাহলে আপনার একটা কমপ্লিট মুভি ডাউনলোড করতে 10 সেকেন্ডের মত টাইম লাগবে। বুঝতেই পারছেন কতটা fast। আর সেকেন্ড বিষয় টা হচ্ছে লেটেন্সি।ল্যাটেন্সি হচ্ছে দুইটা ইন্টারকানেক্ট ডিভাইস যখন একটা আরেকটার সাথে কমিউনিকেট করে তখন মাঝখানে যে ডিলে টা হয় সেটাই হচ্ছে লেটেন্সি ।

4G তে এই ল্যাটেন্সি টা 60 মিলিসেকেন্ড থেকে 100 মিলি সেকেন্ডের মধ্যে হয়ে থাকে, কিন্তু 5G তে এইে লেটেন্সি কে কমিয়ে as low as 1ms এ নিয়ে এসেছে।

মানে অলমোস্ট ইনস্ট্যান্ট। Below 5ms বললে appropriate হবে কিন্তু 1 মিলিসেকেন্ড হচ্ছে লোয়েস্ট। সো বুঝতেই পারছে একদমই ইন্সট্যান্টলি একটা ডিভাইস আরেকটিা ডিভাইস এর সাথে কমিউনিকেট করতে পারবে। মানে দুইটা Device এর কমিউনিকেশন এর মাঝখানে তেমন কোন Gap বা Delay ়ে থাকবে না। আর এই লো ল্যাটেন্সির কারণে কিন্তু অনেক নতুন নতুন revolutionary টেকনোলজি আমাদের সামনে আসবে।

যেমন একটা অলরেডি কিন্তু চলছে বিশ্বের বিভিন্ন দেশে সেটা হচ্ছে self-driving Car।

এই self-Driving car এ যদি 5G ইউজ করা হয় তাহলে সেগুলো আরো বেশি সফিস্টিকেটেড হবে, কারণ হচ্ছে self-Driving car একটা আরেকটার সাথে কমিউনিকেট করতে পারবে এবং রাস্তাগুলো তারা সঠিকভাবে চীনে কোন ধরনের কলিশন এভোয়েট কর এই গাড়িগুলো চলতে পারবে।

সেই সাথে শুরুতেই যেরকম ডিসটেন্স সার্জারির কথা বললাম মানে ডক্টর রা দূরে বসে থেকেই কোন একটা সার্জারি অপারেট করতে পারবে কারণ সেখানে ডাক্তারের কমান্ড দেওয়া আর এখানে রোগীর কাছে যেয়ে রোবটিক হ্যান্ডস বানানো জিনিস গুলো কাজ করবে সেগুলো থেকে কোন ডিফারেন্স থাকবেনা থাকবেনা।

গ্যাপ থাকবে না বা ডিলে থাকবে না। আপনি পৃথিবীর যে কোন কর্নারে বসে কোন একটা জায়গার ডিভাইসকে যদি একদম Almost instantly কন্ট্রোল করতে পারেন আপনার command এর মাধ্যমে এটা নিঃসন্দেহে রেভুলেশনারি।

সেই সাথে আমরা যদি আইওটি ডিভাইস এর কথা বলি যেগুলো এখন একটা আরেকটার সাথে অটোমেটিক কমিউনিকেট করে সে আইওটি ডিভাইসগুলো কিন্তু ফাইভ-জি আসলে আরো বেশি সফিস্টিকেটেড হয়ে যাবে আরো বেশি ফাস্ট হয়ে যাবে এবং তাদের রেসপন্স টাইম কিন্তু অনেক বেশি কমে যাবে।

এর বাইরেরও অগমেন্ডেড রিয়েলিটি ভার্চুয়াল রিয়েলিটির মতো টেকনোলজি গুলো যেগুলো এখন আমরা মনে করছি কাইন্ড অফ গিমিক সেগুলো কিন্তু সামনের দিকে অগ্রসর হয়ে যখন আমরা meta verse এর ওয়ার্ল্ডে চলে যাব তখন কিন্তু এই 5G Technology low latency VR কে একটা ভিন্ন মাত্রায় নিয়ে যাবে ।

শুধুমাত্র এগুলো না আমরা যদি আমাদের লাইফের অন্যান্য পার্ট গুলো দেখে যেমন এগ্রিকালচারালেও কিন্তু 5G এর বড় একটা ভূমিকা থাকবে সেই সাথে গেমিংএ ও কিন্তু একটা নতুন মাত্রা যোগ হবে।

কারণ আপনার অনেকেই Google স্টাডিয়ার নাম অনেকেই শুনেছেন, গুগোল স্টাদিয়া মানে হচ্ছে ক্লাউড গেমিং। ক্লাউড গেমিং কিন্তু 5G এর ফলে একটা অন্য মাত্রায় চলে যাবে এবং আমরা চাইলে যে কোন ডিভাইসে যে কোন প্রকারের গেম প্লে করতে পারব।

এই যে টেকনোলজিক্যাল revolution এর কথা বললাম এটা কেবল ফাইভ-জি দিয়ে সম্ভব। এখন প্রশ্ন হচ্ছে তাহলে ফাইভ-জি কেন এখনো আমাদের দেশে wide স্প্রেড হচ্ছে না বা পৃথিবীতে কেন wide স্প্রেড হচ্ছে না? যে রকম টা বলছিলাম যে গ্রামীণফোন অলরেডি কিন্তু already desicion নিয়ে নিয়েছে টেকনোলজির আমাদের দেশে এটা আনার জন্য।

5G কিভাবে কাজ করে

আপনাদের আমি আরো একটু ক্লিয়ার করে বলি তাহলে বুঝতে পারবেন যে কেন 5G এখনো Widely spared হচ্ছে না, বা এত দ্রুত কেন হচ্ছে না।

5G মুলত তিনটা ব্যান্ডে কাজ করে –

  1. লো ব্যান্ড (Low Band)
  2. মিড ব্যান্ড এবং (mid band)
  3. হাই ব্যান্ড। (high band)
3 layers of 5G High, Mid & low band.

Low Band 5G

low band ফাইভ-জি হচ্ছে, যখন ফাইভ-জি নেটওয়ার্ক টা one গিগাহার্টজের নিচের ফ্রিকোয়েন্সিতে অপারেট করে তখন এটাকে বলা low band 5G। এই low band 5G এর উপকারিতা হচ্ছে এটা অনেক দূর পর্যন্ত ট্রাভেল করতে পারে মানে অনেক বড় ডিসটেন্স কাভার করতে পারে বেটার ওয়াল পে নেট্রেট করতে পারে, আর প্রবলেম হচ্ছে এটার স্পিড কিন্তু অতটাও revolutionary না। Of course 4G থেকে বেটার তবে আমরা 5G নিয়ে আমরা যে Dream দেখি তেমন না।

Mid Band 5G

এরপর আছে Mid Band, Mid band টা low band থেকে একটু বেটার। জাস্ট আরেকটু middle ফিকুয়েন্সিতে এটা কাজ করে এবং এটার যে ওয়াল পেনেট্রেশন সেটা আরেকটু কম হয়। রেইঞ্জ ও আগের থেকে কিছুটা কম হয় তবে স্পিড অনেকটাই বেড়ে যায়।

High Band 5G

ফাইনালি হচ্ছে হাই ফ্রিকোয়েন্সি যেটা Around টুয়েন্টিফোর গিগাহার্টজ ফ্রিকোয়েন্সিতে কাজ করে এবং এটাই হচ্ছে True 5G স্পিড বাট প্রবলেম হচ্ছে এই high band 5g টা খুব বেশিদূর ট্রাভেল করতে পারে না একদমই শর্ট ডিসটেন্স এর মধ্যে থাকে এবং এটা স্পিডো এরকম আপটু 10 giga bit per second।

তো এই high band 5G টাই মূলত আমাদের আল্টিমেট dream। কিন্তু যেরকমটা শুরুতেই বলছিলাম এই 5G কিন্তু শুধুমাত্র মোবাইল data দিয়ে জন্য ইউজ করার একটা টেকনোলজি না এটা একটা ব্রেক থ্রু revolutionary টেকনোলজি, so এটার ডেভেলপমেন্ট কিছুটা সময় লাগবে।

আর যারা একটু মশকরা করে বলেন যে আমি এখনো 2G পাইনা, থ্রিজি পাই না তাহলে ফাইভ-জি দিয়ে আমি কি করব বা কবে পাব তাদের জন্য বলছি – আসলে ফাইভ G টা আসলে এখন এই মুহূর্তে 4g কে রিপ্লেস করবেনা। 4G থাকবে আস্তে আস্তে 5G এটার মাঝখানেই হবে, কিন্তু একটা সময়ে গিয়ে 4G টা হয়তো অক্সালেট হয়ে যাবে 5G টা যখন fully spreade হবে fully ডেভলপ হবে।

আর 5G এর আরেকটি সুবিধা হচ্ছে যে 4G যে রকম একদম নির্দিষ্ট একটা এরিয়া ফুল্লি cover করে বসে থাকে 5G টা আবার ডিফারেন্ট। 5G হচ্ছে বুঝতে পারে যে কোন জায়গাতে নেটওয়ার্ক এর ডেনসিটি বেশি কোথায় হচ্ছে সবচেয়ে বেশি দরকার তখন সে জায়গাতে ট্রাভেল করে, যে জায়গাতে দরকার না সেখানে ট্রাভেল করে না। এই টাইপের একটা ব্যাপার আছে যার ফলে আরো বেশি অপটিমাইজ হয়।

You May also like –

ইন্টারনেট টাইম ট্রাভেল মেশিন সম্পর্কে

conclusion

5G এর সুবিধা অসুবিধা সবগুলাই আপনাদের সাথে তুলে ধরার ট্রাই করলাম। আমার বিশ্বাস 5G নিয়া আপনাদের ধারনা আগের থেকে বেশ কিছুটা চেঞ্জ হয়েছে। আমি যেগুলো বলছি এগুলো হচ্ছে কারেন্টলি যেগুলো মানুষ চিন্তা করতে পারছে , but 5G টা এতটাই revolutionary যে এইটা নিয়ে যে নতুন আরো কতকিছু আসবে যেটা নিয়ে আমাদের চিন্তার মধ্যে এখনো পর্যন্ত নাই।

এটা একটু wide sprade হলে এবং আরো যখন মানুষ অ্যাডাপ্ট করবে তখন আস্তে আস্তে কিন্তু এটা আরো বেশি বেশি ইনোভেশন নিয়ে আসবে। আর এই 5G কিন্তু শুধুমাত্র প্রাইভেট কোম্পানি গুলো আর টেলিকম কোম্পানি কিংবা স্মার্টফোন কোম্পানি এরা ইনভেস্ট করছে না এই 5G এর স্টেকহোল্ডার কিন্তু পুরো পৃথিবী ।

Goverment থেকে শুরু করে প্রত্যেকটা দেশ 5G তে ইনভেস্ট করছে এবং এই টেকনোলজি টাকে যদি আমরা প্রপারলি like 4g এখন যতটা well sprade 5G কে যদি আমরা এভাবে wide sprade করতে পারি তাহলে আমাদের লাইফের অনেক জটিল সমস্যার সমাধান হয়ে যাবে এবং সেই সাথে আমরা জাস্ট আমাদের পুরো লাইফ স্টাইল থেকে চেঞ্জ করে ফেলতে পারবো।

সেই প্রত্যাশা আমিও কোরি এবং আমি বিশ্বাস করি গ্রামীণফোন বাংলাদেশ ফাইভ জি কে ওয়াইড স্প্রেড করবে এবং 5G যখন বাংলাদেশের লঞ্চ করবে তখন আমরা সে সম্পর্কে আপনাদের জানাতে চেষ্টা করবো। তত দিন সুস্থ থাকবেন ভাল থাকবেন। আপনার কোন প্রশ্ন বা মন্তব্য থাকলে কমেন্ট বক্সে জানাতে ভুলবেন না। ধন্যবাদ ❤

image source: iStock & YouTube

Leave a Comment